রংপুরের কাউনিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য কনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কনের পরিবারটি।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) উপজেলার মদামুদন গ্রামে বিয়ে বাড়ির আয়োজনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, মদামুদন দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (কনে) স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্তসহ প্রেম নিবেদন করত স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক মেম্বারের ছেলে এরশাদ মিয়া। জানতে পেরে ওই মেয়েকে দেড় মাস আগে একই উপজেলার বেইলি ব্রিজ পূর্ব চান্দঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে দেয় পরিবার। বিয়ে পরবর্তী আয়োজনের অংশ হিসেবে শুক্রবার কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। সকাল ১০টায় এরশাদ ও তার সহযোগীরা এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাড়ি-ঘরে কোপানোসহ ভাঙচুর চালায়। এতে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় গুরুতর আহত হন কনের দাদা, দুই চাচা ও দাদি। পরে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কনের নানা বলেন, ‘নাতনিকে বিয়ে করতে না পেরে প্রভাবশালী রাজ্জাক মেম্বারের ছেলে তাকে অপহরণের উদ্দেশে বাড়িতে এসেছিল। বাধা দিলে হামলা চালায় তারা। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ এসে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার পর ভয়ে বরপক্ষের লোকজন অনুষ্ঠানে আসেনি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এরশাদ মিয়া দাবি করে, ওই ছাত্রীর পরিবার তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে তাদের পক্ষের লোকজনও আহত হয়েছে। এ বিষয়ে তারা মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি দুই পক্ষ মৌখিকভাবে জানিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
টিবি