চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় একটি ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি রেললাইন থেকে সরানো হয়েছে। এতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় পর চট্টগ্রামের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৫টার কিছু সময় আগে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ের উদ্ধারকারী টিম দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে। এতে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বড়তাকিয়া স্টেশন মাস্টার মো. শামসুদ্দোহা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে আটকা পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রো বাসযোগে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে যান চালকসহ ১৬ যুবক। ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে দুপুর পৌনে একটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালকসহ ১১ জন নিহত হন। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচজন। তানভীর হাসান হৃদয়সহ আহত পাঁচজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মিরসরাই সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হৃদয় হাটহাজারী থানার আমান বাজার শিকারপুর এলাকার প্রবাসী আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি হাটহাজারীর কেসি জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী। আহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পূর্ব রেলের ডিটিও আনসার আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পরপর গেটকিপারের তিনি কথা বলেছেন। গেটকিপার তাকে জানিয়েছেন, ট্রেন আসার আগেই গেট ফেলা ছিল। কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক গেটবারটি জোর করে তুলে রেললাইনে প্রবেশ করেন। এরপর মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়।
এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। গেটকিপারের অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি

