জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. নয়ন নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম সারোয়ার এ রায় দেন। রায়ের পর নয়নকে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
দণ্ডপ্রাপ্ত নয়ন পাঁচবিবি উপজেলার গোহারা (দামপাড়া) গ্রামের আনছের আলীর ছেলে।
আদালত ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, গোহারা গ্রামের নয়ন ও মোছা. রেশমা ওরফে ফুরকুনীর সংসারে এক মেয়ে রয়েছে। যার বর্তমান বয়স ২৪ বছর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সাংসারিক বিষয় নিয়ে নয়ন ও রেশমার মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে। নয়ন তার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে মারপিট ও নির্যাতন করতো। গত ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রেশমাকে নয়ন এলোপাতারি মারপিট করে, বুকের ওপর উঠে লাথি মারলে রেশমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং সেখানেই মারা যান। ঘটনার দিনই রেশমার ভাই আবীর মণ্ডল বাদী হয়ে নয়নকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করেন। থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলাটি আদালতে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয় এবং নয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আদালত এ মামলার রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও আইনজীবী (এপিপি) গকুল চন্দ্র বর্মন। আসমি পক্ষে ছিলেন— আইনজীবী মো. হাসান আলী ও আবু কাইছার।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, পাঁচবিবি থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম সারোয়ার এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
টিবি
