শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ঢাকা

আমার খুব ভা‌লো লেগেছে: মাঝপুকুরে বাসর করা হালিম

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৬:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

আমার খুব ভা‌লো লেগেছে: মাঝপুকুরে বাসর করা হালিম
ছবি: ঢাকা মেইল

মাঝপুকুরে বাসর করে আলোচনায় উঠে এসেছেন শেরপু‌রের এক যুবক। নাম হা‌লিম মিয়া। তিনি পেশায় একজন ওয়ার্কশপ শ্রমিক বলে জানা গেছে। বাসর ঘর দেখতে ভিড় করেছেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকা মেইলসহ (dhakamail.com) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। পরে এ নিয়ে আলোচনা ‍শুরু হয় অনলাইন জগতেও। ঢাকা মেইলের ফেসবুক পেজে সংবাদটি শেয়ার হওয়ার পর সেখানেও বিভিন্নরকমের কৌতুহলী কমেন্ট লিখতে দেখা যায় নেটিজেনদের।

শেরপুর সদ‌রের চর‌শেরপুর ইউ‌নিয়‌নের সাতানীপাড়া এলাকায় শুক্রবার (২২ জুলাই) এমন ব‌্যতিক্রমী আ‌য়োজন ক‌রা হয়।
basorসানিজিদা জেরিন নামে একজন লেখেন, ‘ব্যতিক্রমী উদ্যোগ খুব ভালো লাগলো নিউজটি দেখে।’ ইফতেখার হোসেন পাপ্পু নামের আরেকজন তার ভেরিফাইড আইডি হতে লেখেন, ‘আমাদের শেরপুর জেলার মানুষগুলোর দিন দিন বুদ্ধি বাড়তেছে...। ধন্যবাদ সবাইকে, তবে বউ জামাইকে নিউজের জন্য বিরক্ত না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।’ লিজান নামের আরেকজন লেখেন, ‘আজব বাসর ঘর তো...’


বিজ্ঞাপন


কিশোর কুমার দেব নামের আরেকজন লেখেন, ‘দারুণ একটি উদ্যোগ।’

জানা গেছে, সাতানীপাড়ার আব্দুল হা‌মি‌দ ও চম্পা বেগম দম্পতির ৯ ছে‌লে-মে‌য়ের ম‌ধ্যে সবার ছোট হা‌লিম মিয়া। তার ইচ্ছা ছিল ব‌্যতিক্রমীভা‌বে বি‌য়ে করার। সেই ইচ্ছা থে‌কে এমন ভিন্ন আ‌য়োজ‌নের কথা মাথায় আসে।
basorএ বিষয়ে জানতে চাইলে হা‌লিম মিয়া ঢাকা মেইলকে ব‌লেন, ‘আমার বি‌য়ের কথা ফাইনাল হওয়ার পর থে‌কে আমার ইচ্ছা হয় ব‌্যতিক্রম কিছু করার। সেই ইচ্ছা থে‌কে আমার নানা ও চাচা মি‌লে  উদ্যোগ নিই পা‌নি‌তে বাসর ঘর তৈ‌রি করার। গত ৪-৫ ‌দিন ধ‌রে আমার নানা ও চাচা মি‌লে আমা‌দের বা‌ড়ি‌র পাশে পুকু‌রের উপর খুব কষ্ট ক‌রে তৈরি ক‌রে এ বাসর ঘর। প‌রে আস্তে আস্তে আশপা‌শের মানুষ বাসর ঘর‌টি দেখ‌তে আমার বাড়ি‌তে আস‌তে শুরু ক‌রে। আমার খুব ভা‌লো লেগেছে।’
basorচাচা রোকন সরকার ব‌লেন, ‘আমার ভা‌তিজার খুব ইচ্ছা ব‌্যতিক্রমভা‌বে বি‌য়ে কর‌বে। প‌রে বি‌য়ে ঠিক হলে আম‌রা পা‌রিবা‌রিকভা‌বে ক‌য়েকবার ব‌সে সিদ্ধান্ত নেই কী করা যায়। এক পর্যা‌য়ে সিদ্ধান্ত হয় পা‌নির উপ‌রে বাসর ঘর করার। প‌রে বা‌ড়ির পা‌শে একটা পুকু‌রের মাঝখা‌নে বাসর ঘর বানা‌নোর কাজ শুরু হয়। বানা‌নোর সময় মানুষ আজেবা‌জে কথাও ব‌লে। কিন্তু সব সম্পন্ন হ‌য়ে গে‌লে এই বাসর ঘর দেখ‌তে মানুষ ভিড় শুরু ক‌রে।’

চরশেরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নাঈম আহম্মেদ মনি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি দেখে গিয়েছিলাম দেখতে। এমন আয়োজন আগে দেখিনি।

প্রতিনিধি/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর