শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সেই শিশুটিকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন রাবেয়া

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২২, ১০:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

সেই শিশুটিকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন রাবেয়া
ছবি: ঢাকা মেইল

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্তা রত্না বেগমের পেট ফেটে ভূমিষ্ট হওয়া নবজাতক শিশুটিকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন রাবেয়া খাতুন নামে এক নারী। শিশুটিকে চিকিৎসার দায়িত্ব  নিয়েছেন একটি হাসপাতালের মালিক।  তবে নবজাতকটিকে নিজেদের কাছে রেখে লালন-পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তার দাদা-দাদি।

মা হারা শিশুকে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে পেরে উচ্ছ্বসিত রাবেয়া বেগম। রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা মেইলের কথা হয় রাবেয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, নিজের ইচ্ছা থেকেই তিনি দুধ খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তার মায়ের দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি। নিজের সন্তানের মতোই যত্ন করে দুই শিশুকেই দুধ পান করাচ্ছেন তিনি। আরও দুদিন হাসপাতালে আছেন, এ দুদিনও খাওয়াবেন বলে জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই নগরীর বেসরকারি লাবীব হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন রাবেয়া। তিনি জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানিখোলা দক্ষিণ ভাটি পাড়া এলাকার অটোচালক নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।

এদিকে নবজাতকটিকে নিজেদের কাছে রেখে লালন-পালন করবেন বলে জানিয়েছেন নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু ও মা সুফিয়া বেগম। তারা বলছেন, জাহাঙ্গীরের আরও দুজন ছেলে মেয়ে রয়েছে। ছেলে এবাদত মিয়া (৮) ও মেয়ে জান্নাত আক্তারও (১০) তাদের সঙ্গে আছে। তবে বয়ষ্ক বাবলু-সুফিয়া দম্পতি ওই তিন শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। 

হাসপাতালের পরিচালক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, সবচেয়ে আশার কথা হলো, বাচ্চাটি সুস্থ আছে। ডাক্তাররা নিয়মিত তাকে সেবা দিচ্ছেন। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। ডান হাতের যে অংশটি ভেঙ্গে গেছে, তা সেরে উঠতে মোটামুটি ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত অনেকে যোগাযোগ করেছেন, নানাভাবে সহযোগিতা দেবার চেষ্টা করেছেন। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী তার সব ব্যয়ভার বহন করছি। 


বিজ্ঞাপন


দত্তক দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ঢাকা মেইলকে বলে লন, আপাতত বাচ্চাটির সুস্থ হওয়া বড় কথা। তারপর সিদ্ধান্ত। পরিবারের অভিভাবক শিশুটির দাদা।

গত শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোর্ট ভবন এলাকায় ট্রাক চাপায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ একই পরিবারের তিন জন নিহত হন। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগমের পেট ফেটে ভূমিষ্ট হয় একটি কন্যা শিশু। শিশুটিকে নিয়ে আলোচনা থামছেই না৷ 

প্রতিনিধি/এএ/এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর