বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনে ৩২ প্রার্থীর মধ্যে দুই ভাইসহ সব আসনেই বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে মধ্যে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বাগেরহাটের এক, দুই ও তিন আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন দলটির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিম। এম এ এইচ সেলিমের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া বাগেরহাট -২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) আসনে তার আপন ভাই জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামও (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনেই বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরের তথ্য অনুযায়ী-
বিজ্ঞাপন
বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট মোল্লাহাট ও চিতলমারী)
এই আসনে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। এই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিম ও জেলা বিএনপি নেতা প্রকৌশলী মো. শেখ মাসুদ রানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মো. মামুনুল হক, জামায়াতের মো. মশিউর রহমান খান, ইসলামী আন্দোলন মুজিবুর রহমান শামীম।
বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া)
এই আসনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। এই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিম ও তার আপন ভাই জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামও (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ।
বিজ্ঞাপন
বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা)
এই আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাগেরহাট-২ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিম। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ শেখ।
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)
এই আসনে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী সোমনাথ দে। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজি খায়রুজ্জামান শিপন। এই আসনে জামায়াত প্রার্থী মো. আব্দুল আলীম।
প্রতিনিধি/এসএস

