পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা-হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে নেমে আসা হিমশীতল বাতাস ও হালকা কুয়াশায় ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। তবে গতকাল তাপমাত্রা ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে আজকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর ) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বিজ্ঞাপন
![]()
এদিকে, গত কয়েক ধরে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পঞ্চগড়ে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেকেই সকালে কাজে বের হতে পারছেন না। গ্রামীণ এলাকায় মানুষজন গরম কাপড় ও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

বিজ্ঞাপন
অপরদিকে, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, এ অঞ্চলটি হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত হিমেল বাতাসের প্রভাবে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা আবারও ১২ ডিগ্রি ঘরে নেমে গেছে। এতে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। এসময় বাতাসের গতিবেগ ১০-১২ কিলোমিটার ছিল। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সামনের দিকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমতে পারে।
প্রতিনিধি/টিবি

