সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অবহেলায় শেবাচিম হাসপাতালে বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

অবহেলায় শেবাচিম হাসপাতালে বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ
বীর প্রতীক, অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট রত্তন আলী শরিফ।

বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর প্রতীক, অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট রত্তন আলী শরিফের (৮২) মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তার সন্তানরা।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাসপাতালের পঞ্চম তলার ৫০০৩ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন


মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার আগে থেকে কয়েকবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকতে গেলেও কেবিনে গিয়ে চিকিৎসা দিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ সন্তানদের। এর আগে শনিবার বিকেলে এই হাসপাতালে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন।

thumbnail_IMG20251228205625

বীর প্রতীক অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট রত্তন আলী শরিফ (৮২) বরিশাল জেলার রাকুদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

মৃতের সন্তান তানজিলা আক্তার ইমু বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আমার বাবার ডায়াবেটিক ও প্রেসার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। এরপর শনিবার বিকালে বাবাকে শেবাচিম হাসপাতালের ভর্তি করি। ভর্তির পর কেবিনে এসে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যায়। পরের দিন রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে একজন চিকিৎসক সেবা দিয়ে যায়। দুপুরে আমার বাবার অক্সিজেন লেভেল কমে যায়, ডায়াবেটিক বৃদ্ধি পাওয়ায় অচেতন হয়ে যান। এরপরে আমি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ডাকতে রুমে যাই, তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক কেবিনে আসতে অনীহা প্রকাশ করে বলেন- ' রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসতে বলেন, নয়তো প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকতে গেলে আবারও দায়িত্বরত চিকিৎসক আসতে অনীহা প্রকাশ করে। তখন আমার এক বোন সিনিয়র সচিবকে ফোনে ধরিয়ে দিলে কেবিনে যান চিকিৎসক। তারপর কেবিনে গিয়ে দেখতে পাই আমার বাবার মারা গেছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ভোলায় সিএনজি–ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৪

thumbnail_IMG20251228205726

মৃতের ছেলে শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেও বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আমি সরকারের কাছে চাই।

ঘটনার পরপরই শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মাহাবুবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

thumbnail_IMG20251228205730

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর বলেন, এ রোগীকে আমার তত্ত্বাবধানে কেবিনে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসা অবহেলার বিষয়টি আমি শিওর না। তদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিতভাবে সঠিক কারণ বলা যাবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর