শহিদ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্রজনতা।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর তিনটা থেকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদ সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।
বিজ্ঞাপন
এ সময় মহাসড়কের দুই প্রান্তে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এসময় অবিলম্বে ওসমান বিন হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল চারটায় অবরোধ চলছিল।
এ হত্যাকাণ্ডে বিচার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্বস্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান বিক্ষুব্ধরা। এ আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ওসমান বিন হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোতে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, অথচ এখনও প্রধান খুনিসহ অন্যান্যরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা চাই জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃশ্যমান বিচারের। এটা ন্যায়ের আন্দোলন। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে বলে জানান তিনি।
মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল নগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।
প্রতিনিধি/ এজে

