রোববার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৪ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ, ১০ গ্রামবাসীর ভোগান্তি

অহিদুজ্জামান, পিরোজপুর
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

৪ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ, ১০ গ্রামবাসীর ভোগান্তি
৪ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ

পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার সীমান্তবর্তী মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা দুই উপজেলার সংযোগ হলতা নদীর ওপর নির্মাণাধীন হলতা সেতু। কাজ শুরুর পর নির্ধারিত সময়ের ৪ বছর অতিবাহিত হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে দুই উপজেলার ৮-১০ গ্রামের শতশত শিক্ষর্থী ও হাজার হাজার মানুষ।

এলজিইডির সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জয়েন্ট ভেঞ্চারে আবির অ্যান্ড সরদার নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫ শত টাকা ব্যয়ে কাজটি পায়। কিন্তু কাজ না করায় ২০২১ সালে পুণরায় রিটেন্ডারে তহিদুল বাশার কবির নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ৪ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কাজ। নদীর দুই তীরে কেবল দুটি অ্যাবাটমেন্ট ছাড়া করা হয়নি কোনো কাজ। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দুই উপজেলার ৮-১০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। সেতুটির উভয় পার্শ্বে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

এলাকাবাসী জানান, আমাদের দুই উপজেলা মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যমে এই সেতুটি। এখান থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় পরে রয়েছে সেতুটি। আমরা চাই, সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা হোক।

আনোয়ার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। ব্রিজটি কাজ শুরু করে শেষ করতে পারে নাই। আমরা শুনেছি ইঞ্জিনিয়ারের ত্রুটির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে ৫ বছর ধরে। আমরা চাই, দ্রুত কাজ শেষ করে সেতুটিতে চলাচলের উপযোগী করা হোক।

শিক্ষার্থীরা জানান, সেতুটি পারাপার হয়ে যেতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। মূল সেতুর স্থানে কাজ না করে ফেলে রেখেছে, এখন যেখানে সেতুটি আছে এখানে বৃষ্টি হলে পানিতে দুই পার ডুবে যায়। বেশি সমস্যা হয় বৃষ্টির সময়। সেতুটি হলে আমাদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।


বিজ্ঞাপন


মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, নকশা জটিলতা ও দরপত্রের নির্ধারিত মূল্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুণরায় দরপত্র আহবান করে নতুন ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হলেও তারা কাজটি বন্ধ রেখেছে। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুণরায় কাজ শুরুর করার চেষ্টা চলছে।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর