“বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন” (বিবিসিএফ) এর সাধারণ সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা সেতু পূর্ব পিকনিক স্পটে এই সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন (বিবিসিএফ)-এর নতুন কমিটি কর্যকরি পরিচালনা পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
এতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি ড. নাছির উদ্দিন, সাধারণ আরাফাত রহমান এবং যমুনা সেতু পূর্ব আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিবিসিএফের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় কনজার্ভেশন ভলেন্টিয়ার সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন— অন্তবর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান।
নবনির্বাচিতরা বলেন, আগামী দিনে বিবিসিএফকে আরও অন্তর্ভুক্তি, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করা হবে। পরিবেশ শিক্ষা, যুব নেতৃত্ব উন্নয়ন, গবেষণা ও তথ্যভিত্তিক সংরক্ষণ উদ্যোগ, সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে সংগঠনটি।
এ সময় বিবিসিএফের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোল্যা রেজাউল করিম, উপদেষ্টা অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান, হারুন অর রশিদ, আবু সাইদ, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জুনায়েদ আহম্মেদ, সহ-সভাপতি ইউনুসুর রহমান হেবজুর, ফজলে বারী রতন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম, শাহিন সরকার, সোহাগ রায় সাগর, হোসেন রহমান, পলাশ, নাজমুল, অধ্যাপক আলী হাসমত, প্রাণী চিকিৎসক ডা. মুজিব রহমান, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার ভূঞাপুর প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ তালুকদার, কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ফরমান শেখ, মোহনা টিভি ভূঞাপুর প্রতিনিধি মুহাইমিনুল ইসলাম হৃদয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) একটি সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। দেশের বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করা তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের সংগঠনগুলোকে একত্রিত করাই এই ফেডারেশনের মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি কনজার্ভেশন ভলেন্টিয়ার। বনায়ন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত প্রশমন, পরিবেশ অপরাধ প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং পরিবেশবান্ধব নীতি প্রণয়নে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করাই সংগঠনটির প্রধান কাজের ক্ষেত্র।
বিজ্ঞাপন

