দেশের চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা দিনে দিনে বাড়ছে। ভোর থেকেই যেন ঘুমিয়ে থাকে শহর। কুয়াশায় মোড়া রাস্তাঘাট, সকাল গড়িয়ে দুপুরেও দেখা মেলে না সূর্যের মুখ। সকাল এবং রাতে কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যায় জেলার চারপাশ। এ সময় বেশ শীত অনুভূত হয়।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রিকশা-ভ্যান কম, বাজারে মানুষের উপস্থিতিও কমে গেছে। দিনমজুর, কৃষক ও শ্রমজীবীরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের কারণে বেচাকেনা অনেকটা কমে গেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকে জেলায় শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে।
ভ্যানচালক নুরু মিয়া বলেন, ভোরে ঠান্ডায় চলা যায় না। কুয়াশায় রাস্তা দেখা যায় না। কাজ কম হয়, আয়ও কমে গেছে। ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে।
চা শ্রমিক মিনা রবিদাস বলেন, শীতের সকালে পাতায় শিশির থাকে, হাতে-পায়ে কাঁপুনি ধরে। কিন্তু কাজে সময় মতো না গেলে ও বেশি পাতা না তুললে মজুরি কাটা পড়ে। গরম কাপড়ের খুব দরকার, কিন্তু সবার কেনার সামর্থ্য নেই।
বিজ্ঞাপন
জেলা শহরের পশ্চিমবাজার এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী রফিক আলী বলেন, শীত বাড়ায় সকালে ক্রেতা কম আসে। দুপুরের দিকে কিছুটা জমে। কিন্তু সারাদিনের বিক্রি আগের মতো হয় না।
ষাটোর্ধ্ব নারী জাহানারা খাতুন বলেন, এই বয়সে হাড়ের ব্যথা আরও বেড়ে গেছে। কয়েকদিন ধরে রোদের দেখা নেই।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মুজিবুর জানান, আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে জেলায় শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে।
প্রতিনিধি/টিবি

