শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঘটনাস্থলে না থেকেও মারপিট মামলার আসামি সাংবাদিক

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

ঘটনাস্থলে না থেকেও মারপিট মামলার আসামি সাংবাদিক

সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়া এলাকায় চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে ভিন্নভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও স্থানীয় এক সাংবাদিক ও তার ভাইকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মামলার আসামিরা হলেন- সাংবাদিক আব্দুর রহমান ও তার বড় ভাই রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় আরও তিনজন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর ভোরে কাটিয়া অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা কওছার আলী সাংবাদিক আব্দুর রহমানের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে কচু ও কলা চুরির চেষ্টা করেন। এসময় রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নূর জাহান বিষয়টি টের পেয়ে প্রশ্ন করলে কওছার আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ।

ঘটনাটি দেখে স্থানীয়রা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চুরির মালামালসহ আটক করে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন। তবে পুলিশের উপস্থিতির আগেই কৌশলে পালিয়ে যান কওছার আলী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।

অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা আমলে না নিয়ে চুরির ঘটনাকে মারপিট হিসেবে দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই মামলায় চার ও পাঁচ নম্বর আসামি হিসেবে সাংবাদিক আব্দুর রহমান ও তার ভাই রফিকুল ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যদিও তারা ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে পরে সেখানে যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন তৈরি, ইউপি চেয়ারম্যান-সচিবকে শোকজ

এলাকাবাসীর দাবি, প্রকৃত অভিযুক্ত কওছার আলীর বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে তার মা ফরিদা বেগমকে বাদী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত ছাড়াই এভাবে মামলা নেওয়ায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব হোসেন বলেন, কওছার আলীর বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। তার আচরণে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ।

এ বিষয়ে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পিংকু মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং এক নারী আহত অবস্থায় ছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং তিনি ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, তিনি মিটিংয়ে আছেন, পরে কথা বলবেন।

এদিকে, তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর