বরিশালে জেঁকে বসেছে শীত। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, আজ সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা সাধারণত কম থাকে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। তবে আপাতত কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তীব্র ঠান্ডার কারণে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে: শিশু ওয়ার্ডে আসন সংখ্যা: ৪১টি। বর্তমানে ভর্তি শিশু রোগী: ৩০০ জন।
শয্যা সংখ্যার তুলনায় প্রায় সাত গুণ রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। কেবল শিশুরাই নয়, বয়স্করাও ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলায় আজ সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অটোরিকশাচালক ও দিনমজুরেরা। কাশিপুর এলাকার অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, ‘ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। রাস্তায় যাত্রী নেই। এভাবে আরও কয়েক দিন চললে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে।’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

