বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সংস্কারের জন্য জীবন গেলেও পিছপা হব না: হাসনাত আবদুল্লাহ

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

সংস্কারের জন্য জীবন গেলেও পিছপা হব না: হাসনাত আবদুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় যারা আমাদের হত্যা করতে চেয়েছিল, তারা এখনও আমাদের খুন করতে চায়, বাংলাদেশের রাজনীতি বদলে দেওয়ার জন্য আমরা যে সংস্কারের দাবি তুলেছি, জীবন গেলেও আমরা তা থেকে পিছপা হব না।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদিকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে আয়োজিত শোক ও সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, গত দেড় বছর চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজরা টেইলর দেখিয়েছে, পুরো পিকচার দেখবেন নির্বাচন হওয়ার পরেই। আমাদের যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তাদের অধিকাংশই পরবর্তীতে কেবা কারা ক্ষমতায় আসতে পারে, ক্ষমতামুখী দলগুলোর পা চাটার জন্য গুলশানে পল্টনে তারা লাইন দেওয়া শুরু করেছে। গত তিনটা নির্বাচনে পুলিশ রেফারির ভূমিকা পালন না করে খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি বলেন, যারা শহীদ ওসমান হাদিকে গিনিপিগ বলে, তার নামটাও ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না, তাদের এই প্রজন্ম প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রিত লটারির মাধ্যমে যাদের ডিসি-এসপি বানানো হয়েছে, তারা অনেকে একটি দলের পা চাটা শুরু করেছে। কোনো দলের দালালি করলে বেনজির-হারুনদের মতো পালাতে হবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।

হাসনাত আরও বলেন, এখনও হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, এটি অশনি সংকেত। প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ না করলে আবারও তরুণ প্রজন্মের মুখোমুখি হতে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

thumbnail_34768


বিজ্ঞাপন


আগামী নির্বাচন হবে সংস্কার ও হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে: মজিবুর রহমান মঞ্জু

সমাবেশে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ন্যায়, ইনসাফ ও গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে যত ভয় ভীতিই দেখানো হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদ ও আধিপত্যবাদের কাছে বাংলাদেশ আগেও কখনও মাথা নত করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।

তিনি বলেন, যারা ১৫ বছর জুলুমতন্ত্র চালিয়েছে তাদের পালাতে ১৫ মিনিটও লাগে নাই, আগামীতে যারা জনগণকে জিম্মি করতে চাইবে তারাও জনরোষে পালাতে বাধ্য হবে।

ফেনী জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক মাস্টার আহসানুল্লাহর সভাপতিত্বে এনসিপি ফেনী জেলা সদস্য সচিব শাহ ওয়ালী উল্যাহ মানিক, এবি পার্টির সদস্য সচিব ফজলুল হকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জোবায়ের আহমদ ভুঁইয়া, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক মিয়া তৌফিক, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় এনসিপি ফেনী জেলা আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকতসহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদলসহ গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

thumbnail_34767

মঞ্জু বলেন, অপশাসনের সময় খালেদা জিয়া বলেছিল এ সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। এখন তারা সেই সংবিধানের দোহায় দেয়। এখন তারা ভাবেন সংবিধান সংশোধনের আর দরকার নেই, আমরা ক্ষমতায় এলে দেশটাকে খুব ভালো চালাবেন। আমরাও চাই ক্ষমতায় যেই আসুক সুন্দরভাবে আপনারা রাষ্ট্র চালান।

সভায় মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, আগামী নির্বাচন হবে হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের নির্বাচন, সংস্কারের নির্বাচন। প্রয়োজনে যারা সংস্কার চায়, হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়, তাদের বৃহত্তর মোর্চা করে সংস্কার আর বিচার বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।

thumbnail_34770

 

নির্বাচনি জোট নয়, সংস্কার বিরোধী জোট: সামান্তা শারমিন

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন বলেন, কয়েকটি দল আরো কয়েকটি দলকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কার বিরোধী ঐক্যজোটের রূপান্তরিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ নির্বাচনে জোট হিসেবে দেখলেও এটা নির্বাচনি জোট নয়, সংস্কার বিরোধী জোট। কারণ আপনারা দেখবেন মাঠ থেকে জুলাইয়ের সনদ ও সংস্কার উভয় বিষয়কে বিলোপ করা হয়েছে।

সামান্থা শারমিন আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে সংস্কারের পক্ষে হ্যাঁ ভোট আর নতুন বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিতে হবে। যারা টাকার বিনিময়ে বা দু-একটি সিটের বিনিময়ে নিজেদের বিকিয়ে দেয় তারা কখনও রাষ্ট্রের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। তিনি বলেন, আধিপত্যবাদের বিপক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে লড়াই করে তরুণ প্রজন্ম ফ্যাসিস্ট হটিয়েছে, নির্বাচনেও ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর