উদীচী, ছায়ানট এবং দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদে মাদারীপুরে এক প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের লেকপাড়ের শহীদ কানন চত্বরে জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে সাংস্কৃতিক কর্মীরা প্রতিবাদী গান ও আবৃত্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন। বক্তারা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও গণমাধ্যম কার্যালয়ের নিরাপত্তা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। এ সময় ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়শাকে ঘরের ভেতর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
উদীচী মাদারীপুর জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন এলিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা উদীচীর সভাপতি রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি সুলতান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি মোল্লা, আবৃত্তি সংগঠন ‘মাত্রা’র সাধারণ সম্পাদক বিএম লিটন, জেলা গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি আজমল হুদা, সুফি সাধক ও বাউল সংগঠক সাজ্জাদ দেওয়ান, তানিয়া সরকার, উদীচী ডাসার উপজেলা সংসদের সভাপতি শ্রীকান্ত রায়, আবৃত্তি সংগঠন ‘উদ্ভাস’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক আন্না আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী মজুমদার এবং বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান জুলিয়া প্রমুখ।
উদীচীর সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘ছায়ানট ও উদীচীতে আগুন দেওয়া হয়েছে; তারা আমাদের ৫৭ বছরের ইতিহাস ও দলিল পুড়িয়ে দিয়েছে। উদীচী ছাড়াও জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানকে প্রশ্ন করতে চাই আপনি এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সরকার কেন ‘মব ভায়োলেন্স’ বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে? সরকারপ্রধান হিসেবে আপনি নিজে নিরাপদ থাকলেই চলবে না, জনগণকে নিরাপদ রাখতে হলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন। আজ আমরা সম্মিলিতভাবে এই অপশক্তির প্রতিবাদ করছি। সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা ও ভাঙচুর করে কাউকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।’
প্রতিনিধি/একেবি

