বরগুনা সদর উপজেলায় এক রাতেই পৃথক দুটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক প্রবাসী পরিবারের গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়েছেন। দুই বাড়ি থেকে ডাকাতরা অন্তত ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ আড়াই লাখ টাকা এবং তিনটি মোবাইল ফোন লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে বরগুনা পৌরসভার আমতলার পাড় এলাকায় প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাড়িতে প্রথম ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৬ থেকে ৭ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় বাড়িতে একা ছিলেন প্রবাসীর স্ত্রী মনিরা সুলতানা। ডাকাতরা তাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারি ভেঙে ৬-৭ ভরি স্বর্ণ, নগদ দেড় লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
ডাকাতির সময় বাধা দিতে চাইলে ডাকাতরা মনিরা সুলতানার পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এছাড়া হাতের আংটি খুলতে দেরি হওয়ায় তার আঙুলেও জখম করা হয়। সকালে প্রতিবেশীরা তাকে রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
একই রাতে সদর উপজেলার বদরখালি ইউনিয়নের কুমড়াখালি গ্রামে দীপক হাওলাদারের বাড়িতে দ্বিতীয় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে মারধর করে। সেখান থেকে তারা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনিরা সুলতানা জানান, ডাকাতরা অত্যন্ত বেপরোয়া ছিল এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সবকিছু লুটে নিয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ডাকাতদের শনাক্ত করতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

