দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী (২৫ ডিসেম্বর) দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমান। প্রিয় নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী বাস ও ট্রেনযোগে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
এ উপলক্ষে জেলার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সব প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলা বিএনপি। এ কারণে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন দায়িত্বশীল নেতারা।
বিজ্ঞাপন
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে দেশ ছেড়ে ছিলেন তারেক রহমান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রিয় নেতার আগমনে আগামী ২৪ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ১১টায় সিরাজগঞ্জ শহরের পৌরসভার মালশাপাড়া কবরস্থানের সামনে ৬০টি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এসব বাস রাত ১১টার মধ্যেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। এছাড়াও ৯টি উপজেলার বাসগুলো পৌরসভা ও ৮৩টি ইউনিয়নের নিজ নিজ এলাকা থেকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকার উদ্দেশে বাসগুলো যাত্রা করবেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ বলেন, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ২ হাজার ৫০০ জন যাবে। ১৪০টি বাসের প্রতিটিতে ৭০ জন করে যাত্রা করবে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে ন্যূনতম ১০০টি মাইক্রোবাসে আরও ১ হাজার জন এবং আলাদাভাবে আরও ৮ থেকে ৯ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে সেদিন ঢাকায় যাবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী যাবে, তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ঢাকা মেইলকে বলেন, দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন প্রিয় নেতা তারেক রহমান। নেতাকে একনজর দেখার জন্য ইতোমধ্যে জেলার নেতাকর্মীরা দলে দলে ঢাকায় যাত্রা শুরু করেছেন। প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবে। এর বাইরে থেকেও অনেক নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন। সব নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমি বার্তা দিয়েছি, কোনো নেতাকর্মী মাস্ক বা হেলমেট পরতে পারবেন না। এছাড়াও বাসে ওঠার সময় কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পাশের মানুষটি কে, সেটি দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা নিশ্চিত করবেন।
প্রতিনিধি/এসএস

