ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার ফেনী সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবুজ হত্যা মামলায় পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের সময় ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে অটোরিকশাচালক সবুজসহ সাতজন নিহত হন এবং অন্তত ৩০০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর মহিপাল এলাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় সাতটি হত্যা মামলা ও ১৭টি আহতের মামলা রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ জানায়, ৪ আগস্ট মহিপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে অটোরিকশাচালক সবুজ নিহত হন। পরে ১৩ আগস্ট তাঁর ভাই ইউসুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক মিয়া গত ১২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত ৬৫ জন এবং তদন্তে পাওয়া আরও ৫৯ জনসহ মোট ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রের শুনানি শেষে সোমবার আদালত অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ফারুক মিয়া বলেন, এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন এজাহারভুক্ত এবং একজন সন্দেহভাজন আসামি। বাকি ৭১ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ফেনীর কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সবুজ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি সত্য।
এআর

