হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গাছচোর ও বনরক্ষীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় একটি দেশীয় পিস্তল ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে বনাঞ্চলের বৈরাগী টিলা থেকে এগুলো উদ্ধার করে র্যাব।
বিজ্ঞাপন
সোমবার সন্ধ্যায় র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর পাহাড়ে গাছচোর ও বনরক্ষীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে মোট ৩৪ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর কালেঙ্গা রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন।
মামলার পর থেকেই র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোরে বনাঞ্চলের বৈরাগী টিলায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও কার্তুজ রেমা-কালেঙ্গা বনাঞ্চলে সংঘটিত গুলির ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধার করা সরঞ্জাম চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১১ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে একদল গাছচোর নিশ্চিন্তপুর পাহাড়ে সেগুন গাছ কাটছিল। খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল আমিনের নেতৃত্বে তিন বনরক্ষী সেখানে গেলে গাছচোরেরা তাদের ওপর চড়াও হয়। আত্মরক্ষার্থে বনরক্ষীরা গুলি ছুড়লে পাল্টা গুলি চালায় চোরচক্রও।
বিজ্ঞাপন
কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল খালেক জানান, গুলি বিনিময়ের সময় বনরক্ষীরা ১৪ রাউন্ড এবং গাছচোরেরা ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বনরক্ষীরা কিছুটা পিছু হটেন। পরে খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চোরেরা পালিয়ে যায়। অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১২ টুকরো সেগুন ও ৮ টুকরো আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৫৭ টুকরো কাঠ জব্দ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/একেবি

