লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে আগুনে ৮ বছরের ছোট্ট আয়েশা আক্তার সানজুর মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেন, ‘ছোট্ট শিশু আয়েশার মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না। মধ্যযুগীয় বর্বরতার মাধ্যমে একটা দুর্বৃত্ত গ্রুপ ও একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ বসতঘরের চারদিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে তালাবদ্ধ করে সবাইকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। শিশু আয়েশা আক্তার তার বাবা বেলালকে আব্বু বলে ডেকেছিল। কিন্তু বেলাল তার মেয়ে আয়েশাকে বাঁচাতে পারেনি। এ মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কেউ না কেউ দূর থেকে কলকাঠি নাড়ছে। কোন প্রভাবশালী লোক নিশ্চয়ই জড়িত আছে।’
বিজ্ঞাপন
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের সুতারগোপ্টা নামক এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল চৌধুরীর বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
এ্যানি বলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড, আয়েশা আক্তার সানজু হত্যাকাণ্ড, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া। অন্যান্য পরিবার মৃত্যুর মুখে পতিত হওয়ার একটা যোগসূত্র কাজ করছে।
একটি গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা চায় না বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধারা ফিরে আসুক। তারা চায়ে না বাংলাদেশে সুস্থ নির্বাচন হোক। নিশ্চিত কেউ না কেউ দূর থেকে কলকাঠি নাড়ছে। সেটা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারেন বা প্রভাবশালী ব্যক্তিও হতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ্যানি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সুস্থ তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। সন্ত্রাসী যেই হোক যত প্রভাবশালী হোক তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলালের ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে তার ছোট মেয়ে আয়েশা আক্তার সানজু (৮) মারা যায়। এছাড়া বেলালসহ তার দুই মেয়ে স্মৃতি আক্তার (১৭) ও বিথি আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়। বেলাল সদর হাসপাতালে এবং তার দুই মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রতিনিধি/এমআর

