গাজীপুরর শৈলডুবির মিয়া বাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ঘোড়ার মাংস জবাই ও বিক্রির অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ৪০০ কেজি ঘোড়ার মাংস।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসরুফ ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে ঘোড়ার মাংস জবাই ও বিক্রি নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে এলাকাবাসী খামারের ৯ জন কর্মচারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এসময় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় খামারের মালিক আলফাজ আহমেদকে মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসরুফ ইসলাম জানান, অভিযানের সময় মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের অবস্থায় ৯ জন কর্মচারীকে আটক করা হয়। এ সময় মোট ১০টি জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ৬টি ঘোড়ার মাংস ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছিল এবং বাকি ৪টি ঘোড়া জবাইকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খামারের মালিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতার কথা স্বীকার করে ভুল মেনে নেওয়ায় জরিমানার মাধ্যমে তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া খামার এলাকায় আরও ৭টি জীবিত ঘোড়া বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। সেগুলো এলাকার কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত গাজীপুর সদর উপজেলার ভেটেরিনারি কর্মকর্তা এস এম হারুন অর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রায় ৪০০ কেজি ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে জব্দকৃত সব মাংস মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়া জবাই করে তা গরুর মাংস বলে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিনিধি/ এজে

