মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ড ৫ দোকান ও ১২টি আবাসিক কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপাহাড় গ্রামের ওমেরা গ্যাস ফ্যাক্টরি এলাকায় বিবি মরিয়ম মঞ্জিলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বিবি মরিয়ম মঞ্জিলে রোববার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান পুড়ে যায়। দোকানগুলো হলো মীর হোসেনের মা-বাবার দোয়া স্টোর, ইমাম হোসেনের হার্ডওয়্যার, ইয়াছিনের খাদ্যের দোকান, হানিফের ওয়ার্কশপ ও এনামুল হক সওদাগরের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান।
![]()
এসময় এনামুল হক সওদাগরের নগদ ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা পুড়ে যায়। এছাড়া ১২টি আবাসিক কক্ষ পুড়ে যায়। দোকান ও আবাসিক কক্ষ পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এবং বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও ভুক্তভোগীরা। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে মোহাম্মদ বাবু নামে এক যুবক আহত হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ক্ষতিগ্রস্ত বিবি মরিয়ম মঞ্জিলের মালিক এনামুল হক সওদাগর বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। আগুনে আমার দোকানে থাকা ৫ লাখ ২২ টাকা পুড়ে গেছে। এছাড়া আমার ভাড়া দেওয়া ৫টি দোকান ও ১২টি আবাসিক কক্ষ পুড়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন তিতাস বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুইটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ওয়ার্কশপ বা ওয়ার্কশপের পেছনে গ্যাসের সিলিন্ডারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
প্রতিনিধি/এসএস

