গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় পরকীয়ার টানে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেই হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন নিরঞ্জন চন্দ্র (৪০) নামের অটোরিকশা চালকসহ এক গৃহবধূ।
এ ঘটনায় রোববার (২১ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী দেনদরবারের পর আটক নারী ও তার স্বামীর মধ্যে খোলা তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে অভিযুক্ত নারী পিপাসু নিরঞ্জন চন্দ্রের বিচার নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের তরফবাজিত গ্রামের ধরনী চন্দ্রের ছেলে অটোরিকশাচালক একই ইউনিয়নের মুসলিম পরিবারে এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া করে আসছিলেন। ওই নারীর স্বামী জীবিকার তাগিদে বাড়িতে না থাকার সুবাদে নিরঞ্জন চন্দ্র প্রায়ই নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নিরঞ্জন চন্দ্র ওই গৃহবধূর ঘরে গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এসময় স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করেন। তারপর দুজনের হাত রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাদের দেখতে শত শত নারী-পুরুষের ভিড় জমতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুরের জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, আটক ওই নারী-পুরুষের অনৈতিক ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয়দের নিয়ে বসা হয়। সেখানে নারী ও তার স্বামীর মধ্যে খোলা তালাকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর অভিযুক্ত নিরঞ্জন চন্দ্রের অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য অঙ্গিকারনামা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

