সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা ও শান্তিরক্ষী সেনা সদস্য সবুজ মিয়ার (লন্ড্রি কর্মচারী) মরদেহ হেলিকপটারযোগে গাইবান্ধার তুলশীঘাটে পৌঁছায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছোট ভগবানপুর গ্রামে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছীর ছোট ভগবানপুরে সবুজ মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
![]()
এই জানাজা নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম (লেবু)।
নিহত সবুজ মিয়া ছোট ভগবানপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান ও ছকিনা বেগম দম্পতির ছেলে।
এর আগে রোববার (২১ ডিসেম্বর) যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে সবুজ মিয়াকে ও আরও ৫ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, সবুজ মিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী। বাড়ির আঙিনায় আহাজারিতে ভেঙে পড়েন তার মা ছকিনা বেগম। বারবার তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে, নিহত সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাসের মাথায় স্বামীকে হারালাম। সব স্বপ্ন এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, সবুজ মিয়া গত ২০১০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে 'লন্ড্রি কর্মচারী' হিসেবে যোগদান করেন। ২০২৩ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে তিনি সুদান মিশনে গিয়েছিলেন। সেখানে গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এসময় সবুজ মিয়াসহ বাংলাদেশের ৬ জন সেনাসদস্য শাহাদাৎ বরণ করেন।
প্রতিনিধি/এসএস

