জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সংগতিপূর্ণ মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিশেষ সিনেট অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য বলেন, একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠা, উন্নত-সমৃদ্ধ জাতি গঠন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে দেশের সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব একসিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। কারণ দেশের উচ্চশিক্ষার শতকরা ৭০ ভাগ প্রদান ছাড়াও প্রায় আড়াই হাজার সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও প্রফেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে দেশে পরিবর্তনের যে সুযোগ এসেছে তার সদ্ব্যবহার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাজ বিনির্মাণকারী একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে দেশের উচ্চশিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে জ্ঞান, ভাষা, নিজস্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিস্তারকেই উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
পরে সিনেট চেয়ারম্যানের অভিভাষণের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিনেট সদস্যরা। সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত গভর্নিং বডি সংবিধি অনুসমর্থন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক গ্রুপগুলোকে অনুষদ হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিসহ দেশের খ্যাতনামা ব্যক্তির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিশেষ সিনেট অধিবেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যানসেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান ও প্রফেসর ড. মো. নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, ৫৮ জন সিনেট সদস্য এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, বাংলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যানসেলর অধ্যাপক ড. মোহা, হাছানাত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম তালুকদার, ঢাকার হজরত শাহ আলী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রানা ফেরদৌস রত্না এবং সিলেটের রাগীব রাবেয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. এনামুল হক।
প্রতিনিধি/ এজে

