বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের দলীয় মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘একটি কুচক্রী মহল ফ্যাসিবাদের দোসর ও খুনিচক্রের অংশ হিসেবে কাজ করছে। হাদী হত্যাকাণ্ডের পেছনেও তাদের হাত রয়েছে। ভারত থেকে নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমার ধারণা, ঘটনা ঘটার পর বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে খুনিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হয়েছে। যারা এই ঘটনাকে ভিন্ন রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে, মূলত তারাই খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে।’
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশনায়ক তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ম্লান হয়ে যাবে। দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে।’
আগামী দিনে দেশে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘একটি চক্রান্তকারী মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। এসব অপচেষ্টার মাধ্যমে তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। ইনশাল্লাহ, ফ্যাসিবাদের সকল দোসরের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে এবার মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংঘের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. মনিরুল হক (ডিপি মনির) সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

