ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গত ১২ ডিসেম্বর গুলি করে শহীদ করার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
শহরের শাপলা চত্বর মুক্তমঞ্চ থেকে মিছিল করে চেঙ্গী স্কয়ার ঘুরে আবার শাপলা চত্বরে এসে শেষ হয়। শাপলা চত্বরে সড়কের ওপর আধাঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে নানান স্লোগান দেওয়ায় খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় সাজেক থেকে ফেরা পর্যটকবাহী গাড়ি আটকা পড়ে। পরে মুক্তমঞ্চে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
![]()
জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধা মো. আমিন ইসলাম সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. জাহিদ হাসান।
মো. জাহিদ হাসান বক্তব্যে বলেন, বিপ্লবের মাধ্যমে যাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছি তাদের প্রথম কাজ ছিল ওই জুলাইয়ে যত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী জড়িত ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু আমরা দেখতে ফেরেছি জুলাই আন্দোলনের পরে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন করছে। সবার পকেট ভারি হয়েছে, যেটি হয়নি জুলাই আন্দোলনের বিপ্লবী সব শহীদদের হত্যাকারীদের বিচার। এই সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টার আত্মীয়-স্বজনদের পকেট ভারি করেছে। মন খুশি করেছে ভারতের। এই ভারতের মন খুশি করার জন্য তারা তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্র সংস্কার বাধ দিয়ে নির্বাচন দিকে এগিয়েছে। এই দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে পরিবর্তন করার একটি অন্যতম মুখ ছিল আমাদের ওসমান হাদি ভাই।
![]()
বক্তারা বলেন, ওসমান হাদি ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছেন। খুনিদের বিচার আদায় করে ছাড়ব। জুলাইয়ের সৈনিকরা এখনও ঘরে ফিরে যায়নি। আমাদের আন্দোলন, বিপ্লব এখনো শেষ হয়ে যায়নি। যতদিন পর্যন্ত একটি নিরাপদ, খুশি ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি করেন।
প্রতিনিধি/এসএস

