শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিতর্কিত টিকটক ভিডিও বানিয়ে সমালোচনার মুখে ৩ যুবক

জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা 
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বিতর্কিত টিকটক ভিডিও বানিয়ে সমালোচনার মুখে ৩ যুবক

বিতর্কিত টিকটক ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তিন যুবক। 

এ বিষয়ে প্রশাসন তৎপর হলে ওই তিন যুবক আত্মগোপন চলে যায়।


বিজ্ঞাপন


নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে ধারণ করা ১২ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, 

উপজেলার নারায়ণডহর এলাকার জামিয়া বদরুল হুদা খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার সামনে একটি ছেলে স্কেটিং করতে করতে ভ্যানের পেছনে বসা এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে। একপর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে থাকা ব্যাগ দিয়ে ছেলেটিকে আঘাত করা হলে ওই ছেলে মেয়েটির পাজামা টেনে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। ভিডিওটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেটিজেনরা

গত ১৫ ডিসেম্বর ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিডিওতে দেখানো বিষয়টি অভিনয়ের অংশ। আলোচনায় আসার জন্যই মূলত এটি করা হয়েছে। ভিডিও ধারণ করে রোমান, স্কেটিং করা ছেলেটি রাকিব হাসান (২০) এবং মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন হানিফ (২০)। হানিফ ও রোমান সম্পর্কে আপন দুই ভাই। তারা পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামের ওয়াসিম মিয়ার ছেলে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, হানিফ ও রোমান তারা দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ফানি ভিডিও’ তৈরি করে আসছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় আলোচিত এই ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাতাদের দাবি অনুযায়ী ভিডিওটি বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এ ধরনের ভিডিও নির্মাণকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে এবং তাদের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 


এ ব্যাপারে খেলাফত আন্দোলন নেতা গাজী আব্দুর রহীম রুহি জানান, এই ধরনের ভিডিও যেন ভবিষ্যতে আর তৈরি করা না হয় সেজন্য দোষীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

এ ব্যাপারে পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল জানান, এই ধরণের ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি করছি। 

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম জানান, ভিডিওটি মূলত অভিনয়। এতে মেয়ের পোশাকে ছিলেন হানিফ নামের এক যুবক। তবে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই তিন যুবক আত্মগোপন রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। 

এ বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর