বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কনের ভাইয়ের ইটের আঘাতে বরের মা নিহত: মামলা দায়ের, গ্রেফতার ৫

জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

কনের ভাইয়ের ইটের আঘাতে বরের মা নিহত: মামলা দায়ের, গ্রেফতার ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেম করে বিয়ে করার জেরে কনের ভাইয়ের ছোড়া ইটের আঘাতে বরের মা দীপালি রাণী দাস (৫৫) নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে সবুজ দাস বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দিপালী দাস হত্যা মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিবেশী সুকেশ দাসের মেয়ে সুইটি দাসের সাথে শৈলন দাসের ছেলে সবুজ দাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সুইটির পরিবার তা মেনে নিতে না পারায় দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

দুই বছর আগে সুইটি ও সবুজ গোপনে আদালতে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সুইটির পরিবার তাকে জোরপূর্বক ভারতের ত্রিপুরায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে সুইটিকে পুনরায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেন। ওই সময় ভারতীয় পুলিশ তাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।

আরও পড়ুন—

খবর পেয়ে সবুজ দাস ত্রিপুরায় এক আইনজীবীর মাধ্যমে সুইটিকে জামিনে মুক্ত করে দেশে নিয়ে আসেন। দেশে ফেরার পর তারা ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পুনরায় বিয়ে করেন। এতে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে এবং সুইটির পরিবারের হুমকির মুখে সবুজের পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এক মাস আগে তারা পুনরায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে।

এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে সুইটির পরিবারের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় এক যুবক সবুজের পিসাকে (ফুফা) হুমকি দেয়। দুপুরে এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুইটির ভাই নিলয়সহ বেশ কয়েকজন সবুজের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় নিলয়ের ছোড়া ইটের আঘাতে সবুজের মা দীপালি দাস গুরুতর আহত হন। তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর