বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার

‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার আহ্বান’ 

জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী 
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার আহ্বান’ 

রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যাদের দেশপ্রেম, অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ১৯৭১ সালে আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে তাঁরা আমাদের অতীতকে রক্ষা করেছেন; এখন আমরা তাদের সেই বীরত্বগাথা ও প্রেরণা নিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চাই।’

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মহানগরীর ভদ্রা এলাকায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্বলন করেন মনোজ কুমার। এরপর রাজশাহী জেলা ও মহানগর পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, “বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি আজ বিশ্বজুড়ে অনন্য এক মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতো মনীষীরা বিশ্বকে যা দিয়েছেন, তা বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করেছে। বাংলা কেবল একটি ভাষা নয়, এটি একটি জীবন্ত ইতিহাস। বাঙালির এই গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে আজ শুধু বাংলাদেশ বা ভারত নয়, বরং পুরো বিশ্ব গর্ববোধ করে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ভারত ও ভারতের জনগণ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে সবসময় পাশে আছে। ভৌগোলিক নৈকট্যের বাইরেও দুই দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাষাগত গভীর মিল রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত শুধু প্রতিবেশী দেশ নয়, বরং একে অপরের অকৃত্রিম বন্ধু। দুই দেশের জনগণের নিবিড় সম্পৃক্ততায় এই মৈত্রী আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ বলেন, “মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। একজন ভালো প্রতিবেশী যেভাবে একে অপরের পরিপূরক হয়, ভারত ও বাংলাদেশ সেভাবেই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”


বিজ্ঞাপন


রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকা বলেন, “যুদ্ধকালীন সময়ে ভারত আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছে। সেই প্রশিক্ষণ নিয়েই আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। তৎকালীন মৌলবাদী অপশক্তি যেমন পরাজিত হয়েছিল, ভবিষ্যতেও তাদের পরাস্ত করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) নাসিদ ফরহাদ। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নাটক মঞ্চস্থ হয়। এ সময় রাজশাহীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর