ভোলার দৌলতখানে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসার স্থানকে কেন্দ্র করে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে দৌলতখান স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর একজন, ইসলামী আন্দোলনের একজন এবং বিএনপির একজন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর তারবিয়ত সেক্রেটারি মো. জামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্টেডিয়ামে যান জামায়াত ইসলামীর উপজেলা আমিরসহ নেতাকর্মীরা। সেখানে নির্ধারিত আসনে বসতে গেলে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী 'রাজাকার' স্লোগান দিয়ে চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন এবং আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে আমাদের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
অন্যদিকে, ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, চেয়ার ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করেন এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘বসার স্থান নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আমাদের ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি। এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা। জামায়াত আমিরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, বিকেলে বসে আমরা নিজেরা এটি সমাধান করে ফেলব।’
বিজ্ঞাপন
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম সিকদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/একেবি

