১৯৫৮ সাল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিমানবন্দরটি সচল করার প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুনের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল প্রদান করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
লালমনিরহাটের এই পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২৮ জুলাই জনস্বার্থে রিটটি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেই।
শুনানি শেষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আকাশপথে যাতায়াতের সুবিধা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
রিট আবেদনকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ১ হাজার ১৬৬ একর জায়গাজুড়ে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩১ সালে বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি মিত্রশক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কিছু পরিষেবা চালু থাকলেও এরপর থেকে বিমানবন্দরটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালে বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ফাইলবন্দি হয়ে আছে। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ তৎকালীন বিমানবাহিনী প্রধান এলাকাটি পরিদর্শন করেছিলেন। পরিদর্শন শেষে তিনি জানিয়েছিলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এগিয়ে এলে এখান থেকে বিমান পরিচালনা সম্ভব। তবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়েও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

