মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঠিকাদার আ.লীগ নেতা কারাগারে, ঝুলে আছে ১২৩ কোটি টাকার সেতু নির্মাণ

আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ঠিকাদার আ.লীগ নেতা জেলে থাকায় ঝুলে আছে ১২৩ কোটি টাকার সেতু নির্মাণ
ইনসেটে প্রকল্পের ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা বরলাম পোদ্দার কারাবন্দি।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খয়রাবাদ নদীর ওপর নির্মাণাধীন ৭৩০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত রয়েছে। বহু মাস ধরে কাজ বন্ধ থাকার পর প্রকল্পটি এখন বাস্তবায়ন সংকটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা বরলাম পোদ্দার কারাবন্দি থাকায় ১২৩ কোটি টাকার এ সেতুর নির্মাণকাজ আটকে গেছে। নদীর দুই প্রান্তে বসানো হয়েছে কয়েকটি পিলার তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।


বিজ্ঞাপন


এলজিইডির নলছিটি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের খয়রাবাদ নদীর ওপর নির্মাণাধীন ৭৩০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ‘গ্রামীণ সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের’ অংশ হিসেবে অনুমোদন পায়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল নির্মাণকাজ শুরুর পর ২০২৬ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ সময় পেরিয়ে গেলেও গতি নেই কাজের। বরং দীর্ঘ সময় ধরে কার্যত বন্ধ থাকায় থমকে যায় সামগ্রিক অগ্রগতি।

thumbnail_IMG_20251206_122841

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান ঠিকাদার এবং আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার কারাবন্দি থাকায় প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। সাইটে তদারকি, কর্মী ব্যবস্থাপনা, সরঞ্জাম ও মালামাল সরবরাহ সবই থমথমে হয়ে যায়। সরকার পরিবর্তনের পর কাজ আরও স্থবির হয়ে পড়ে বলেও অভিযোগ তাদের। দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি বলতে ১৮টি পিলারের আংশিক নির্মাণ। নদীর দুই প্রান্তে কয়েকটি স্প্যান বসানো হলেও বাকি কাজ থেমে আছে পুরোনো জটেই। এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০ কোটি টাকা অগ্রিম বিল উত্তোলন করেছে, কিন্তু সে তুলনায় মাঠে কাজের গতি সামান্যই।

আরও পড়ুন

বছরেও শেষ হয়নি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ

thumbnail_IMG_20251206_122818_1

স্থানীয় বাসিন্দা আনিচ তালুকদার, জাকির হোসেন ও রিয়াজ হাওলাদার বলেন, সেতুটি চালু হলে সরাসরি উপকার পাবেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া, কলসকাঠি ও চরাদি ইউনিয়নের মানুষ। তবে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের মানুষের বিশেষ কোনো প্রয়োজনই পূরণ করবে না এই সেতু। এর মাঝেই সেতুটির দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক এখনো চলাচলের অনুপযোগী। নেই শিল্পকারখানা, নেই বড় জনচাপ। ফলে ১২৩ কোটি টাকার বিশাল বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে পারলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর