সুদানে জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মধ্যে লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তার নিহতের খবর পেয়ে মা-স্ত্রীসহ স্বজনদের মাঝে আহাজারি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে পুরো গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহত সবুজ মিয়া ওই উপজেলার মহোদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান ও ছকিনা বেগম দম্পতির ছেলে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে মহোদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ফিরোজ আকন্দ বলেন, প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তিনি এক বছর আগে নাটোর জেলায় বিবাহ করেন। তার স্ত্রী ও মা বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তিন মাস আগে ছুটিতে বাড়িতে এসে পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দেন তিনি।
নিহতে স্ত্রী নূপুর আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বিয়ের মাত্র ১ বছর ৮ মাস তাতেই স্বামীকে হারালাম। আমার জীবনটাই শেষ হয়ে গেল। দ্রুত আমি আমার স্বামীর লাশটি ফেরত চাই।
স্থানীয় হোসেন আলীসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ছেলেটা অনেক ভালো ছিল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল সে। এখন তার মা ও তার উপর ভর করে চলা চার পাঁচজনের এখন কী হবে। আমরা সবুজের লাশ দ্রুত ফেরত চাই এবং সরকার যেন এই পরিবারটিকে আর্থিক সহযোগিতা করেন এটি দাবি আমাদের।
বিজ্ঞাপন
![]()
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ জানান, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীতে সবুজ যোগদান করেছেন ২০১০ সাল। সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালায়। এতে দায়িত্ব পালনরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন এবং আরও আটজন আহত হয়।
প্রতিনিধি/এসএস

