ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় বিদেশি চক্র জড়িত থাকার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানাচাল করার জন্যই এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশে ঘটানো হচ্ছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বরিশালে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্প্রতি স্মারক বিষয়ক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বরিশালের উপপরিচালক দিপু হাফিজুর রহমান।
সংলাপের মুক্ত আলোচনায় জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন, হাদি হত্যাচেষ্টা পরিকল্পিত। এতে বোঝা যায় নির্বাচন নিয়ে স্বরযন্ত্র চলছে। এ অবস্থায়ও তারেক রহমান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে আসছেন।
এনসিপির বরিশালের মুখ্য সমন্বয়ক আবু সাঈদ মুসা বলেন, হাদি ভাইয়ের ওপর হামলায় আমরা হতাশ। আমিও গত এক সপ্তাহ ধরে বিদেশি নম্বরে হুমকি ধামকি পেয়েছি। হাদির ঘটনার পর আমি শঙ্কিত।
বিজ্ঞাপন
![]()
গণঅধিকার পরিষদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেল বলেন, পুলিশের ৭৫ ভাগ এখনও আওয়ামী লীগের। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এমন অবস্থায় কী করে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি। জনগণ যদি মনে করে কেন্দ্রে গেলে মার খাবে তাহলে ভোট দিতে যাবেন না। তিনি বর্তমান অবস্থায় দেশে যৌথবাহিনীর অভিযান চালানোর দাবি জানান।
নগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা যদি তিলকে তাল বানান তাহলে বিস্ফোরণ ঘটবে।
![]()
বরিশাল মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান বলেন, বরিশাল ৫ আসনে সন্ত্রাস হবে না। আমরা সহনশীল হচ্ছি।
সংলাপে নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, হাদির ওপর হামলায় বিদেশি চক্র জড়িত। এ হামলা নির্বাচন বনাঞ্চলের জন্য করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন দলের মধ্যে প্রবেশ করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন ডা. মিজান।
প্রতিনিধি/এসএস

