শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শীতে তরমুজ চাষে কৃষক দুলালের চমক

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

শীতে তরমুজ চাষে কৃষক দুলালের চমক

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার উত্তর হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. দুলাল মিয়া। তিনি অসময়ে (শীতকালে) ব্ল্যাক বেবি জাতের কালো রঙের তরমুজ চাষ করে চমক দেখিয়েছেন। মাচায় মাচায় ঝুলছে কালো রঙের তরমুজ। ফলন ভালো হওয়ায় দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এই তরমুজ খেতেও রসালো ও সুস্বাদু। বাড়ির পেছনের প্রায় ২০ শতক জমিতে চাষকৃত তরমুজ বিক্রি করে তিনি ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

উত্তর হাফিজপুর গ্রামের খেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে প্রায় ৬০০ গাছে ঝুলছে শত শত কালো রঙের তরমুজ। ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। দেখতে যেন কালোর সমারোহ। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে এবং পোকা দমনে ব্যবহার হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ। ফলে কীটনাশক তেমন একটা ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এই তরমুজ চাষ দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। কয়েক বছর ধরে বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শ গ্রহণ করে তরমুজের চাষ করছেন কৃষক মো. দুলাল মিয়া।


বিজ্ঞাপন


কৃষক মো. দুলাল মিয়া জানান, এ বছর তিনি প্রায় ২০ শতক জমিতে ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজের চারা রোপণের জন্য কিছুদূর পরপর বেড তৈরি করেন। ওই বেডে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর বীজ রোপণের স্থানে ফুটো করে চারা রোপণ করেন। বীজের চারা গজালে বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরি করে বাঁশের খুঁটির সাহায্যে সেগুলোতে চারা তুলে দেন। এভাবেই তিনি ক্ষেত প্রস্তুত করেছেন বলে জানান।

ta

তিনি আরও জানান, তরমুজ চাষে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমান বাজারে কালো রঙের তরমুজের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সে হিসেবে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। তরমুজ চাষে সার্বিকভাবে পরামর্শ প্রদান করায় তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাচায় তরমুজ প্রদর্শনীর কাজটি করেছেন কৃষক মো. দুলাল মিয়া। তিনি তরমুজ আবাদ করে সফল। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। তার তরমুজ চাষে সফলতা দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও এ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং তারাও আমার কাছে পরামর্শ চাইছেন। আমি তাদের পরামর্শ দিয়েছি। এক কথায়, কালো রঙের তরমুজ চাষে কৃষক দুলাল চমক দেখিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


4

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় কর অপু বলেন, বাহুবলে তরমুজ চাষ ছিলো না। আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিয়েছি। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার উত্তর হাফিজপুর গ্রামে অসময়ে কালো রঙের তরমুজ চাষ করেছেন মো. দুলাল মিয়া। তার জমিতে চাষকৃত কালো তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। প্রমাণ হলো, কালো তরমুজ চাষে বাহুবলের মাটি বেশ উপযোগী। এ জাতের তরমুজ রসালো ও সুস্বাদু।

প্রতিনিধি/একেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর