নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রাহিমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মুনসুর মিয়ার (৩২) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জয়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত মুনসুর মিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের রঙ্গ মিয়ার ছেলে। আর নিহত গৃহবধূ রাহিমা আক্তার একই গ্রামের মো. আবুল হাশেমের মেয়ে। ১০ বছর আগে মুনসুর মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে রাহিমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আট বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, ‘মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস আছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে সে রাহিমাকে মারধর করত। গতকাল সন্ধ্যায়ও জুয়ায় হেরে বসায় গিয়ে মুনসুর রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে রাহিমা অজ্ঞান হয়ে গেলে মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসক রাহিমাকে মৃত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন লাশ রেখে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে দৌড়ে হাসপাতালে যাই। পরে রাতে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। আজ সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। লাশ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরব। রাতে এ ঘটনায় মামলা করা হবে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ‘রাহিমার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে। তিনি বিষ পান করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

