কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কয়েক দিন ধরেই শীত ও ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতে সাধারণ মানুষজন বিশেষত দরিদ্র ও চরাঞ্চলের মানুষ কষ্টে আছেন।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
বিজ্ঞাপন
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতল বাতাসে মানুষের কাঁপুনি বেড়েছে। দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও যথেষ্ট উষ্ণতা মিলছে না। কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, দরিদ্র পরিবার ও শিশুদের।
উপজেলার কুরুষাফেরুষা এলাকার রাকেশ জানান, শীতের তীব্রতায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুররা খুবই কষ্টে আছে।
একই উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল বলেন, এবার ঠান্ডা অনেক বেড়েছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। এখনও কেউ কম্বল দেয়নি।
বালারহাট এলাকার অটোরিকশাচালক কাশেম (৫০) বলেন, ঠান্ডায় হাত-পা জমে যায়, তবুও জীবিকার তাগিদে বের হতে হয়।
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান, শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। খুব দ্রুত জেলার শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

