শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শরীয়তপুরে তরুণীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ নির্যাতন, গ্রেফতার ৪

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

শরীয়তপুরে তরুণীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ নির্যাতন, গ্রেফতার ৪

গত মঙ্গলবার শরীয়তপুরে বন বিভাগের একটি বাগানে এক তরুণীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, নির্যাতিত তরুণী ও তার বন্ধু যিনি মারধরের শিকার হয়েছেন, বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ ও মামলার বিবরণ অনুযায়ী, লেকপাড়ে ঘোরাঘুরি শেষে ফেরার পথে ওই তরুণী ও তার বন্ধুর পথ আটকায় দুই যুবক। তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার একপর্যায়ে তারা তরুণীর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে অচেতন করে ফেলে। এরপর তরুণীকে বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আরও আট থেকে নয়জন উপস্থিত ছিল।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা তরুণীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করা হয়, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে। তারা এই ঘটনার ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।

মারধরের পর তরুণীর বন্ধুকে অন্য একটি স্থানে আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটক রেখে মারধরের পর অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দু’জনকেই উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।


বিজ্ঞাপন


পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন যে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং চারজন সন্দেহভাজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।’

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মিতু আক্তার জানান, যেহেতু তরুণী বিবাহিত, তাই ডিএনএ পরীক্ষার ফল পাওয়ার পরই ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

ভুক্তভোগী তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা আমার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার বন্ধুও যদি জড়িত থাকে, তারও বিচার চাই।’

এই ঘটনাটি শরীয়তপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর