শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

চবিতে প্রথমবারের মতো ‘নন-ট্রেডিশনাল সি-ফুড’ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, চবি
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

চবিতে প্রথমবারের মতো ‘নন-ট্রেডিশনাল সি-ফুড’ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে নন-ট্রেডিশনাল সি-ফুড ফেস্টিভ্যাল। এতে মলাস্ক ও আর্থ্রোপোডা পর্বের নানান অপ্রচলিত সামুদ্রিক প্রাণী— অক্টোপাস, ললিগো (স্কুইড), মাজেল, অয়েস্টার, ম্যান্টিস, শ্রিম্প এবং থ্রি-ডটেড কাঁকড়াসহ অন্তত ১০ ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী দিয়ে তৈরি খাবার পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।

chitta_1


বিজ্ঞাপন


বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ফেস্টিভ্যালটি উদ্বোধন করেন ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আজম খান। দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ ফেস্টিভলের জনপ্রিয় সি-ফুডগুলোর মধ্যে ছিল অক্টোপাস, ম্যানচুরিয়ান, ললিগো ফ্রাই, স্কুইড মাসালা, বাটার-গার্লিক মাজেল, চিলি ক্র্যাব ও শ্রিম্প নাগেটস। 

ফিশারিজ বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আদিল ইশতিয়াক আহমেদ ইফতি বলেন, ‘আমরা চাই মানুষ এসব সি-ফুড সম্পর্কে জানুক। দেশের মৎস্য খাতে বৈচিত্র্য বাড়ুক। বাংলাদেশের খুব কম খাবারে এমন পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই মানুষকে নন-ট্রেডিশনাল সি-ফুড সম্পর্কে জানাতেই আমাদের এই আয়োজন।’

chitta_3

ফেস্টিভলের তত্ত্বাবধায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল আলম শাহীন বলেন, ‘আমাদের দেশে সি-ফুড বলতে মূলত নানা প্রজাতির মাছ ও চিংড়িকেই বোঝানো হয়। কিন্তু এর বাইরেও বহু সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে, যেগুলো হালাল ও উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন। অনেক ক্ষেত্রে এগুলোর পুষ্টিগুণ ইলিশ বা চিংড়ির চেয়েও বেশি। এসবের ব্যবহার বাড়াতে পারলে প্রচলিত মাছের ওপর চাপ কমবে। আমরা প্রথমবার এ আয়োজন করেছি, ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে পালিত হবে বলে আশা করছি।’


বিজ্ঞাপন


chitta_4

বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আজম খান বলেন, ‘অপ্রচলিত হলেও এসব সি-ফুড অত্যন্ত পুষ্টিকর। প্রতিটিতেই উচ্চ প্রোটিন ও কম ফ্যাট রয়েছে। অয়েস্টার ও ক্যাবে উল্লেখযোগ্য জিংক, অক্টোপাসে আয়রন ও ভিটামিন বি১২, আর মাজেলে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড— যা হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘উপকারী হওয়া সত্ত্বেও সাংস্কৃতিক অভ্যাস, রান্নার জটিলতা, ভুল ধারণা ও বাজারে স্বল্প প্রাপ্যতার কারণে বাংলাদেশে এখনও শেলফিশ ও মলাস্ক জাতীয় খাবার জনপ্রিয় হয়নি। অথচ এগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, রোগজীবাণু কমায় এবং মাংসের গুণমান বৃদ্ধি করে।’

chitta

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে স্কুইড, অক্টোপাস, ক্র্যাব, মাজেল ও অয়েস্টারের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। কম ব্যয়ে সংগ্রহ ও উৎপাদন করা যায় বলে এসব দিয়ে বড় রফতানি আয় সম্ভব। নতুন শিল্প, প্রসেসিং ইউনিট ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি সাস্টেইনেবল অ্যাকুয়াকালচারের বিশাল সম্ভাবনাও রয়েছে।’

প্রতিনিধি/এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর