কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী ও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিসহ ১৩টি অভিযোগ করে কর্মচারী নিয়োগে আবেদনকারী ছয়জন প্রার্থীর নাম যুক্ত একটি অভিযোগপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে উল্লিখিত অভিযোগগুলোর কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি ওই চিঠিতে। অভিযোগকারীদের মধ্যে পাঁচজন এ অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানেন না বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। একজন অভিযোগকারী ও গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছেন, এ অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও দু’জন কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি কর্মচারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। যার মধ্যে কয়েকটি পদে পুনর্বিজ্ঞপ্তি ছিল। গত ২৭ মে থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা (লিখিত, ব্যাবহারিক, মৌখিক) নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এই নিয়োগে আবেদন করা ছয়জন প্রার্থীর নাম সংযুক্ত একটি চিঠি গত ৭ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোশাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য ও সিন্ডিকেট সভায় সদস্যদের অনুপস্থিত রাখাসহ ১৩টি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশনকে (ইউজিসি) তদন্তপূর্বক মতামত প্রদানের নির্দেশ প্রদান করে।
চিঠিতে নাম থাকা কর্মচারী পদে ছয়জন আবেদনকারী হলেন- মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (পি টু রেজিস্ট্রার), মো. দিদার আলম (কেয়ারটেকার), নাজমুল হোসেন, এ আর আবুল কালাম, (হিসাবরক্ষক)। মোসা. মায়া আক্তার (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট), মিলি আক্তার (অফিস সহায়ক)।
চিঠিতে থাকা অভিযোগ গুলো অনুসন্ধান করে জানা গেছে, কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবু তোরাবকে উপাচার্যের ভাগিনা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও উপাচার্যের বোনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় এবং তোরাবের বাড়ি খুলনায়। ফটোগ্রাফার পদে নিয়োগ পাওয়া আকিব মুর্তাজাকে উপাচার্যের ভাইয়ের স্ত্রীর আত্মীয়র ছেলে উল্লেখ করা হয়। তবে তাঁর বাড়ি রংপুরে এবং তিনি ২০২৩ সালে চা বোর্ডে চাকরিরত অবস্থায় কুবিতে আবেদন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার বিষয়ে মুর্তাজা বলেন, চা র্বোডেও আমি ফটোগ্রাফার পদে ছিলাম, তবে কুবিতে গ্রেড ওপরে, তাই এখানে আবেদন করেছি।
বিজ্ঞাপন
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে নিয়োগ পাওয়া হুমায়ুন কবিরকে উপাচার্যের কলিগের আত্মীয় উল্লেখ করা হলেও জানা গেছে, তার বংশের কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করে না বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।
পিএ টু রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পাওয়া মো. আব্দুল্লাহ কে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আনোয়ারের চাচাতো বোনের ছেলে উল্লেখ করা হয়। তবে অনুসন্ধানে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পাওয়া মো. মতিউর রহমানকে অধ্যাপক আনোয়ারের স্ত্রীর বোনের ছেলে উল্লেখ করা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার স্ত্রীর বোনের ছেলে একজন থাকেন ফিনল্যান্ড এবং আরেকজন বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়েন।
অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত মো. আলামিনকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিমের ভাগিনা উল্লেখ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তিনি জানান, তার কোনো ভাগিনা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাননি।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গুরুত্বপূর্ণ সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং বিভাগীয় কমিশনারকে অনুপস্থিত রাখা হয়েছে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিন্ডিকেট সভায় বিভাগীয় কমিশনার ছাড়া বাকি দুজন অনলাইনে যুক্ত থাকেন। পদাধিকার বলে চট্টগ্রাম বিভাগের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সভায় তিনি অনুপস্থিত থাকেন।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৩ জন শিক্ষক নিয়োগে ৩-৪ কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। এমন অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ পাওয়া ৩ জন শিক্ষক সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিক্রিয়া জানান। নিয়োগ বোর্ডে থাকা দুজন সদস্যের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা হয়। পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী জানান, “শিক্ষক নিয়োগে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়েছে আমার মনে হয়নি। আমার বিভাগে দুইজন প্রভাষক ও একজন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ হয়েছে, যা একদম স্বচ্ছ। এছাড়াও নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতিটা সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব থাকে, এই নিয়োগে কোনো প্রভাব ছিলো কিনা তা আমি জানি না। তবে আমার কাছে রাজনৈতিক তদবির কেউ করেনি।
কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাণী বিশ্বাস জানান, ইংরেজি বিভাগের নিয়োগে ১০ জন লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং তাদের মধ্যে সাতজন মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করে, যারা বেশি ভালো করেছে এরকম দুজনকে নেওয়া হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়নি এখানে কোনো রাজনৈতিক সুপারিশ বা টাকার লেনদেন হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে কর্মচারী নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, এটা সম্পূর্ণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কারণ অনেক সময় দেখা যায় একজন থেকে অন্যজনের নম্বরের ব্যবধান দশমিক পাঁচ থাকে, এতে অনেকে সুপারিশ বা অনুরোধ করে, এজন্য আমরা তা প্রকাশ করিনি।
এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের কার্ড নির্ধারিত সময়ে পাঠানো হয়নি এবং পছন্দের প্রার্থীদের শুধু ফোন করা হয় বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সংস্থাপন শাখায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি পদে ৫ থেকে ৭ জনকে শর্ট লিস্ট করা হয়েছে, যাদের সবাইকে একই সময়ে কার্ড ডাকে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের সবাইকে একই সময় ফোন করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে নাম থাকা ছয়জন প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে মো. দিদার আলম, মিলি আক্তার, আরিফুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন বলেন, তাঁরা এই বিষয়ে কিছু জানেন না এবং তাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান।
চিঠিতে নাম থাকা মায়া আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যাবহারিক পরীক্ষায় আমার কম্পিউটারেও কিবোর্ডে সমস্যা ছিলো এবং নেট কাজ করছিল না। অভিযোগ পত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমার হাসবেন্ডের অভিযোগ দেওয়ার কথা, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবে ব্যাবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নিয়মিত ল্যাব ব্যবহার করেন এবং কম্পিউটারগুলোতে কোনো ত্রুটি নেই, এছাড়া ল্যাবের সব কম্পিউটারে ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আরেক প্রার্থী আবুল কালাম বলেন, আমি একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। আমরা জনাতাম ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে, কিন্তু সেখানে আমাদের মাত্র ২৫ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আপনারা যারা অভিযোগ দিয়েছিলেন তারা কি পূর্ব থেকে পরিচিত ছিলেন এই প্রশ্ন করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন এবং বলেন, ‘কেন্দ্রে সবার সঙ্গে পরিচয় হয়।’
তাহলে পূর্ব পরিচিত না হলে আপনার ছয়জন একসঙ্গে কীভাবে অভিযোগ দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে কালাম বলেন, আমি সবার সাথে অভিযোগ করিনি। আমি ও আমার এলাকার একজন নারী প্রার্থী (মায়া আক্তার) মিলে অভিযোগ দিয়েছি।
আপনার সঙ্গে মায়া আক্তারের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমরা একই এলাকার কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নাই।”। কিন্তু মায়া আক্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, আবুল কালাম তাঁর স্বামী। পরে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতে আবার আবুল কালামকে ফোন দিলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।
একজন কর্মচারী প্রার্থী হয়ে শিক্ষক নিয়োগ, সিন্ডিকেট সভা ও টেন্ডারের বিষয়ে কীভাবে জানলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না, আমাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও শিক্ষক অভিযোগ পত্রটি লিখিয়েছেন।”
এদিকি গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের পত্রের পিছনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা সাবেক রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদারের যোগসাজশ রয়েছে।
এই বিষয়ে মজিবুর রহমান মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার এই বিষয়ে কিছু মনে নাই, অনেক আগের ঘটনা।”
অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা স্বচ্ছতার সাথে যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দিয়েছি, এখানে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। দুদক আমার কাছে যা যা চেয়েছে আমি সব কাগজ পত্র দিয়েছি, তারা তদন্ত করুক। আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের একটি দল উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসনকে বিতর্কিত করার জন্য।
অভিযোগের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার, নিয়োগসহ সার্বিক কার্যক্রম কোনোভাবেই উপাচার্য অথবা উপ-উপাচার্য বা ট্রেজারার এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই একটি নির্ধারিত ফরম্যাট এবং বিভিন্ন কমিটি থাকে, যেখানে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের পর্যালোচনা, তাদের স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন নথি থাকতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কাজগুলো সম্পাদন হয়। তাই কোনো একক ব্যক্তির দ্বারা কোনোভাবেই কোনো অনিয়ম করা সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে সরকার যে শাস্তি দেবে, আমি তা মাথা পেতে নেব।
কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় মৌখিক পার্টে আমি সদস্য ছিলাম, এখানে আমার মনে হয়নি কোনো স্বজনপ্রীতি হয়েছে, আর লিখিত পরীক্ষার জন্য আমাকে কিছু প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়ার কথা ছিলো তা আমি করে দিয়েছি, আর কিছু জানি না।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, গত ২০ বছরে যে-সব কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বড়ো একটি অংশ তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রথম শ্রেণি ছাড়া নেওয়ার কথা না। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তাহলে বুঝতে হবে পুরো সিস্টেমটা করাপ্টেড ছিলো। আমরা এটা থেকে বের হয়ে যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই অভিযোগপত্রটি দেখে মনে হচ্ছে ভিতরের কেউ এটি লিখিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট আইন উপদেষ্টা আছেন, তাঁর সাথে পরামর্শ করে এই বিষয়ে আমরা আইনত পদক্ষেপ নেবো।
এ বিষয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি )সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, আমরা সাধারণত কোনো অভিযোগ আসলে নিয়ম অনুযায়ী আগে ব্যাখ্যা চাই, এর ওপর ভিত্তি করে বাকি ব্যবস্থা নিই।
প্রতিনিধি/ এজে

