শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গাজীপুরে ছিনতাই রোধে ফ্লাইওভারের সিঁড়ি বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

গাজীপুরে ছিনতাই রোধে ফ্লাইওভারের সিঁড়ি বন্ধ

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইয়ে একাধিক খুন ও বহু পথচারী আহত হওয়ার প্রেক্ষিতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগ আলী পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের পাঁচটির মধ্যে তিনটি সিঁড়ি বন্ধ করে দিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। পুলিশ বলছে, সিসি ক্যামেরা ও প্রয়োজনীয় লাইট না থাকায় নিরাপত্তা ইস্যুতে এসব সিঁড়ি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিআরটি প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের চান্দনা গাজীপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কের যানজট দূর করতে ২০১২ সালে হাতে নেওয়া হয় বিআরটি প্রকল্প। আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের কাজ সম্পন্ন হওয়া পর সম্প্রতি সরকার বিআরটির এ প্রকল্পটিই আপাতত বন্ধ করে দেয়। এরপর টঙ্গীবাসী ফ্লাইওভারসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চারটি লেন খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখনও চারটি লেন পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড ও চেরাগআলী পর্যন্ত ফ্লাইওভারে বেড়েছে ছিনতাইয়ের হার। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে ফ্লাইওভার থেকে নিচে নামার সিঁড়িগুলোতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত মোট পাঁচটি সিঁড়ি রয়েছে। পথচারীদের ফ্লাইওভার থেকে নিচে নামার জন্য সিঁড়িগুলো নির্মাণ করেছিল বিআরটি।


বিজ্ঞাপন


ফ্লাইওভারে সংঘটিত সাম্প্রতিক ছিনতাইয়ের বিবরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোনো যাত্রী গাড়ি থেকে নামার পর ছিনতাইকারীরা তাকে ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ধাওয়া করে সিঁড়িতে এনে কুপিয়ে হতাহত করে বা সিঁড়ি দিয়ে ফ্লাইওভারে ওঠার সময় আক্রমণ করে। এ প্রক্রিয়ায় একাধিক হতাহতের ঘটনার পর সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিচারের দাবিতে আন্দোলন, মহাসড়ক ও থানা ঘেরাও এখন টঙ্গীর নিত্যদিনের ঘটনা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছিনতাই বন্ধে জিএমপি আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের পাঁচটি সিঁড়ির মধ্যে তিনটি বন্ধ করে দিয়েছে। আব্দুল্লাহপুর ও চেরাগআলীতে দুটি রেখে বাবি তিনটি সিঁড়ি আপাতত অস্থায়ীভাবে ইট দিয়ে প্রাচীর আকৃতির দেয়াল করে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে খোলা রাখা দুটি সিঁড়িতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়ে। কিন্তু এই ফ্লাইওভারের ওপরে বা নিচে কোনো আলো বা সিসি ক্যামেরা না থাকায় ছিনতাইকারীরা সহজেই ছিনতাই করার কাজটি নিরাপদে করে আসছে। তিনটি সিঁড়ি বন্ধ হলেও পুরো ফ্লাইওভারে এখনও আলো ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা হয়নি। শুধু সিঁড়ি বন্ধ নয়, আলো ও সিসি ক্যামেরাসহ পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে এই অপরাধ দমন সম্ভব নয় বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছিনতাই রোধে অস্থায়ীভাবে ফ্লাইওভারের তিনটি সিঁড়ি বন্ধ করা হয়েছে। ফ্লাইওভারে আলো ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন না থাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি ভালো ফলাফল পাওয়া যায় তবে এটি কনটিনিউ করা হবে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর