মৌলভীবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়া চা বাগান মাঠে আগামী ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী হারমনি ফেস্টিভ্যাল (সিজন-২) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল শহরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। এতে অংশ নেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহিবুল্লাহ আকন, স্থানীয় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসন শ্রীমঙ্গলের সার্বিক সহযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই ফেস্টিভ্যালে জেলার একাধিক নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর পরিবেশনায় নাচ-গান, তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং উৎপাদিত নানা পণ্যের বাহারি মেলার আয়োজন থাকবে।
উৎসব আয়োজক সূত্র জানায়, এবারের হারমনি ফেস্টিভ্যালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২৬টিরও বেশি নৃগোষ্ঠী অংশ নেবে। তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, ব্যবহারিক সামগ্রী এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করবে। বৈচিত্র্যময় এই উৎসবকে সফল করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপজেলা প্রশাসনও উৎসবকে সামনে রেখে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
জানা গেছে, পাহাড়, অরণ্য, হাওর ও সবুজ চা-বাগানে ঘেরা পর্যটন জেলা মৌলভীবাজার। আর চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গল উপজেলা পর্যটকদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে সমাদৃত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটক উপস্থিতি কমে যাওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। সেই মন্দাভাব কাটাতেই সরকারের এই হারমনি ফেস্টিভ্যাল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দ্বিতীয় বারের মতো হারমোনি ফেস্টিভ্যালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে তিন দিনে ৬৩টি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন স্টল থাকবে। এবারের উৎসবও সংস্কৃতির মিলন মেলায় পরিণত হবে। উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে।’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

