রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি ডিপ টিউবওয়েলের বোরিং পাইপের ভেতরে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে ৪২ ফুট পর্যন্ত খনন করেও পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে খনন কাজ শেষে উপরে ওঠেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, ৪২ ফুট পর্যন্ত খুঁড়েও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ে তারা এখন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
বিজ্ঞাপন
উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘হ্যাঁ, অভিযান চলবে। যদি শিশুটি মাটির ১০০ ফুট নিচেও থাকে, আমাদের এভাবেই খনন করতে হবে।’
গতকাল বুধবার তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য খনন করা ৮ ফুট ব্যাসের সরু গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সরু গর্তটির পাশেই বড় আকারের একটি গর্ত খনন করা হয় এবং সেটিকে মূল গর্তের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু তবুও শিশুটির কোনো সন্ধান মেলেনি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাজিদকে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। সক্ষমতা এখানে বিবেচ্য নয়।’
স্থানীয় লোকজন জানান, তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েল হাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এমআর

