রাজশাহীতে শান্ত নামে জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার আলিগঞ্জ এলাকায় তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে আরএমপির রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক ঢাকা মেইলকে বলেন, থানায় হত্যা মামলা হবে এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি এবং জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাফেজ মো. খাইরুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ওই এলাকায় মুন্টুর ছেলে নয়ন আমাদের কর্মী শান্তকে খুন করেছে। নয়ন আওয়ামী লীগের হড়গ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ছিল এবং ইউনিয়ন মেম্বার পদে নির্বাচন করেছিল। তার ভাই রিপনও আওয়ামী লীগ করে।’
খাইরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নয়ন সুদে টাকা খাটাতো। শান্তর এক আত্মীয়কেও সুদে টাকা দিয়েছিল। শান্ত বিষয়টি জানতে পেরে সুদের ব্যবসার প্রতিবাদ করে। এরপরই বুধবার শান্তকে কুপিয়ে হত্যা করেছে নয়ন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।’
বিজ্ঞাপন
খাইরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘৫ আগস্ট খুনী হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের নয়ন বর্তমানে যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা কুরুল ইসলাম শুভর শেল্টারে রয়েছে এবং বিভিন্ন অপকর্ম করছে।’ জামায়াত কর্মী শান্ত খুনের ঘটনায় নয়ন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন হাফেজ খাইরুল ইসলাম।
প্রতিনিধি/একেবি

