ভারতে আটক ৩২ জেলেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমানায় বাংলাদেশ জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই এবং ২ আগস্ট ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে। অপরদিকে, গত ১২ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে ২টি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারসহ ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা এসব জেলেকে বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। তার অংশ হিসেবে ৯ ডিসেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একইসাথে ভারতে আটক ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশি এসব জেলেকে বুধবার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে মোংলা কোস্টগার্ড।

এদিকে বাংলাদেশি জেলেরা জানান, ভারতের কারাগারে থাকাকালীন বাংলাদেশি জেলেদের নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের মাছ, নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি শতাধিক মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন অপরাধে আটক রয়েছেন। তারা সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারতে আটক জেলেসহ অন্যান্যদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান জেলেরা।

ভারতের হাতে ফেরত আসা জেলে মো. ইউনুস বলেন, তিন মাস ভারতের কারাগারে ছিলাম। ভারতের কারাগারে থাকাকালীন আমাদের অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশি জলসীমায় মাছ ধরার অপরাধে ভারতীয় জেলেদের আটক করা হলেও, তাদের সরঞ্জাম বাংলাদেশি কোস্টগার্ড ফেরত দেয়। কিন্তু ভারতের সীমানায় বাংলাদেশি জেলেদের আটক করলে, ভারতীয় কোস্টগার্ড বা বিএসএফ কোনো মালামাল ফেরত দেয় না। ভারতের কারাগারে আমার মতো আরও অনেক বাংলাদেশি আটক আছে। তাদেরও কষ্টের শেষ নেই। তিনি সরকারের কাছে তাদেরও দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

প্রতিনিধি/একেবি