বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে 

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম

শেয়ার করুন:

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে 
পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে 

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে গত পাঁচ দিন ধরে ১০ ডিগ্রির তাপমাত্রা স্থির রয়েছে । 

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৭ শতাংশ। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল বাতাস, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে 

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

এদিকে হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশার কারণে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে। শীতে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন পাথর, চা, রিকশা, ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চায় না। কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের। সকাল বেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঘনকুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।  

আরও পড়ুন: হিমেল বাতাসের প্রভাবে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে 


বিজ্ঞাপন


 শীতের কারণে কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ। চলতি মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে এক বা দুইটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর