শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে যেন ঘটল সিনেমার মতো এক ঘটনা। হাসপাতাল চত্বর থেকেই ভ্যানযোগে সরকারি ওষুধ পাচারের চেষ্টা করা হয়। অবশেষে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের তৎপরতায় ধরা পড়ে দুইজন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আটক ব্যক্তিদের পুলিশে সোপর্দ করার পর পুরো হাসপাতালে নেমে আসে চাঞ্চল্য।
বিজ্ঞাপন
আটক দুইজন হলেন— হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) এবং ডোমের সহযোগী ইবাদুল মিয়া। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পরপরই তারা একটি ভ্যানগাড়ি নিয়ে হাসপাতালের পরিত্যক্ত সরঞ্জাম নিচ্ছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু তাদের আচরণে সন্দেহ হলে আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ভ্যানটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
একপর্যায়ে তল্লাশি চালিয়ে ভ্যানের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮০ বক্স সলবিয়ন (Solbion) ভিটামিন ওষুধ— যা সরকারি সরবরাহের। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতালজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মিতু আক্তার বলেন, এটি অত্যন্ত ভয়ংকর ঘটনা। সরকারি ওষুধ কীভাবে বাইরে গেল, তারা কতদিন ধরে এটি করছে— সবই খতিয়ে দেখা হবে। আগামীকালই তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হবে। মূল হোতাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। আটক দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি ওষুধ পাচারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি— হাসপাতাল কোনোভাবেই চুরি কিংবা অনিয়মের স্থান হতে পারে না। কঠোর শাস্তি না হলে এমন ঘটনা বন্ধ হবে না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে— এই ঘটনায় জড়িত সব ব্যক্তি ও চক্রকে চিহ্নিত করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

