শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

দাম-চাহিদা বেড়েছে কাঠের গুঁড়ি 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ০২:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

দাম-চাহিদা বেড়েছে কাঠের গুঁড়ি 
ছবি: ঢাকা মেইল

ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য গাছের গুঁড়ির চাহিদা বেড়েছে। হাটে-বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে মাংস কাটার অন্যতম এই সরঞ্জাম। বর্তমানে প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই গুঁড়ি।

কোরবানি ঈদে আলাদা কদর বেড়ে যায় এই গাছের গুঁড়ির। এটি তৈরিতে তেঁতুল গাছের কাঠকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ অন্য কাঠের তুলনায় তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি দা-ছুরির আঘাতে নষ্ট হয় না। তাই তেঁতুল গাছের গুঁড়ির চাহিদা ব্যাপক। 


বিজ্ঞাপন


গুঁড়ি সব কাঠ দিয়ে তৈরি করা যায় না। এটি তৈরি করতে হয় এমন কাঠ দিয়ে, যাতে চাপাতির (মাংস কাটার যন্ত্র) কোপে কাঠের গুঁড়া না ওঠে। কোরবানির মাংস কাটার জন্য তৈরি করা এসব গুঁড়ি অধিকাংশই তেঁতুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি।

তেতুল গাছের কাঠ দিয়ে গুঁড়ি বানানোর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, তেতুল কাঠে সহজে চাপাতির কোপ বসবে না। তাই কাঠের গুঁড়াও উঠবে না। ফলে মাংস নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

রংপুর নগরীর লালবাগ হাট, বুড়ির হাট, শাপলা বাজার, টার্মিনাল, সিটি বাজার, সাহেগবঞ্জ বাজার, মেডিকেল মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ৩-৫ দিনের জন্য এই কাঠের গুঁড়ি বিক্রি হয়। অন্যান্য দিন সচরাচর দেখা যায় না।

ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, সব জিনিষের দাম বাড়ায় কাঠের দামও বেড়েছে। বিশেষ করে কোরবানি ঈদ এলে তেতুল ও বেলের গাছের কাঠের দাম বাড়ে। যার কারণে এবারে বেল ও তেতুল গাছের কাঠের গুঁড়ির দাম বেড়েছে। গতবার যে গুঁড়ি ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি সেটা এবারে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছি। উপায় নাই, কেনা বেশি বিক্রিও বেশি দামে। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে তিনি প্রতি বছর গুঁড়ি বিক্রি করেন। প্রতিটি গুঁড়ি আকার ভেদে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয় তার।


বিজ্ঞাপন


নগরীর নুরপুর এলাকার বাসিন্দা শাহাজাদা আরমান জানান, কোরবানির ঈদের আগে পশু জবাই ও মাংস তৈরির উপকরণ হিসেবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও গাছের গুঁড়ি কিনতে হয়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মৌসুমি এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।

এদিকে কাঠের গুঁড়ির পাশাপাশি মাংস কাটার জন্য দা, বটি, ছুরি, চাকু ও চাপাতির চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি দামও বেড়েছে। রংপুর নগরীর কামার পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কোরবানি ঈদকে ঘিরে কামাররা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। টুংটাং শব্দই জানান দিচ্ছে ২-৩ দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। গত বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুন দাম বেড়েছে। 

নগেন চন্দ্র জানান, লোহার দাম বাড়ায় বাধ্য হয়েই দাম বাড়াতে হয়েছে। যদিও আগের মতো এই ব্যবসায় লাভ নাই। তারপর পারিবারিকভাবে জড়িয়ে থাকা এই পেশায় থাকা বলে জানান তিনি।

নীলকন্ঠ এলাকার বাসিন্দা আশেক আলী জানান, গত বছর একটি ভালো চাপাতির দাম ছিল ২০০-৩০০ টাকা, এবারে ৪০০-৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। এভাবে দা, বঠি, ছুরি, চাকুর ও দাম বেড়েছে। লোহার দাম বাড়ার কথা বলছেন কামররা। এখন অনেকটা বাধ্যই বেশি দামে কেনা লাগতেছে।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর